সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ বাড়তে পারে

করোনার কারণে মানুষের সঞ্চয়প্রবণতা বেড়ে গেছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে যেমন তারল্য বাড়ছে, একইভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রিও হু হু করে বেড়েছে। আর সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের তারল্য সংস্থান হওয়ায় সরকারও সেভাবে ব্যাংকঋণমুখী হচ্ছে না। ফলে ২০ মে পর্যন্ত ব্যাংক থেকে অর্থবছরের লক্ষ্যের ৫ শতাংশ অর্থও নেয়নি সরকার।

মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে প্রায় দুই লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৬.২ শতাংশ। বাজেটে ঘাটতি পূরণে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নতুন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণের লক্ষ্য আরও কমিয়ে আনছে সরকার। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে তা কমিয়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকা করা হতে পারে। আর সঞ্চয়পত্রে চলতি অর্থবছর ২০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও মার্চ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩৩ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্য আরও বাড়ানো হতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে রয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। বাকি ১৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা ধার নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সঞ্চয়পত্র বেশি বিক্রি হলে সরকারের ঋণও এই খাত থেকে বাড়ে। কারণ বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর প্রতি মাসে যে অর্থ অবশিষ্ট থাকে তাকে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি বলা হয়। অর্থনীতির পরিভাষায় নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রিকে সরকারের ঋণ হিসেবে ধরা হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.