বাড়েনি করমুক্ত আয়সীমা

করোনাসহ নানা কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে না করমুক্ত আয় সীমা। আগামী অর্থবছরেও (২০২১-২২) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা বহাল থাকছে। তবে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় করমুক্ত আয়সীমা বহাল রাখার প্রস্তাব করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে তিনি প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণীর পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা। আর এই শ্রেণীর নারী করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

১০ বছর আগেও প্রায় প্রতি বছরই ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ানো হতো। যেমন ২০১১-১২ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরপরের অর্থবছর ২০১২-১৩ তে সেটি ২ লাখ টাকা করা হয়। আর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেটি আড়াই লাখ টাকা করা হয়। ৫ বছর পর ২০২০-২১ বছরের বাজেটে সেটি বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবার ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর জোরালো দাবি উঠেছিল। কিন্তু তাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ করসীমার বাইরে চলে যাবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন আশংকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নেয়।

ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত এই আয়ের সীমা আরও বেশি।

তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাতের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।

নিচের সারণীতে কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং করধাপ উপস্থাপন করা হলো:

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.