জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনাকর্মকর্তাদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভাসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি, অঙ্গসংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। প্রাণপ্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর অশ্রুশিক্ত নয়নে স্মরণ করবেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে কোরআন খানি, দোয়া ও মোনাজাত, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা, কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার নিভৃত পল্লী বাগবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব ও কৈশোরে তিনি কমল নামে পরিচিত ছিলেন। তার বাবা মনসুর রহমান সরকারি চাকরির জন্য প্রথমে কলকাতায় ও ৪৭ সালে দেশ ভাগের পর চলে যান করাচি শহরে। সেখানেই লেখাপড়া করেন জিয়া। শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। পাক-ভারত যুদ্ধে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনি ওই যুদ্ধে কোম্পানির সর্বোচ্চ খেতাব ও ১টি বিশেষ উপহার লাভ করেন। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

দিনটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।

শনিবার (২৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তে ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। এই ঘোষণায় দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মরণপণ যুদ্ধে শামিল হয়।

দলের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২৯ মে জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। ৩০ মে ও ৩১ মে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ এবং ঢাকা মহানগরীর ৪০টি স্থানে দরিদ্র মানুষদের খাবার দেওয়া হবে।

এছাড়া, জিয়ার জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। ১ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে। ৯ জুন জিয়ার ওপরে প্রকাশিত বইয়ের প্রদর্শনী। ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সারা দেশে সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.