করোনায় বিএনপি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সফল হয়েছে: কাদের

করোনার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিএনপি সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক উদারতা, জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও দায়িত্বশীলতা শূন্যের কোটায় পৌঁছে গেছে, যা করোনাকালে জনমানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। করোনা ও সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিএনপি সফল হয়েছে।

আজ শনিবার (২৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার মধ্যেও আসন্ন বাজেট নিয়ে ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার মধ্যেও বাজেট নিয়ে ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এ ভাবনার মধ্যেও সরকারের সফলতা বা অর্জনের কোনো একটি বাক্যও খুঁজে পেলাম না বিএনপি নেতাদের থেকে। বিএনপি যত ইতিবাচক ভাবনাই ভাবুক, তারা তাদের সেই সংকীর্ণতার বৃত্ত থেকে আজও বেরোতে পারেনি।

গত বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকারকে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো করোনার সংক্রমণে অভিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্য তথা উৎপাদন ব্যবস্থাকেও সচল এবং গতিশীল রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি রাজস্ব আহরণের চাকা সচল রাখার মত চ্যালেঞ্জিং কাজ সরকার দক্ষতার সঙ্গে চালিয়েছে এবং এ সময়ে ২২২৭ ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে। করোনা সংক্রমণরোধ, চিকিৎসা অব্যাহত রাখা, টিকা সংগ্রহ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ সম্প্রসারণ ইত্যাদি সূচকে দেশের অর্থনীতির যে সক্ষমতা তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মুখে কোনো প্রশংসা কিংবা বাস্তব অর্জনের কথা বলে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতির সংকোচনের কথা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার আগেই তাদের আত্মীক সংকোচন ঘটে গেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেট জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় ঘটবে বলে মনে করি।

তাঁতী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাঁতীদের সাথে যাদের সম্পর্ক নেই তাদের তাঁতী লীগ করা যাবে না। তাঁত শিল্পের বিকাশে তাঁতী লীগ কাজ করবে। বিদেশের মাটিতে কেউ যেন তাঁতী লীগের দোকান না খুলতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৫ পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিকের নাম। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি এখন একজন ব্র্যান্ড, এই ব্র্যান্ড আলো ছড়াচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।

তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.