অক্টোবর পর্যন্ত টিকা রফতানি বন্ধ রাখবে ভারত: রয়টার্স

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আগামী অক্টোবর পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে ভারত। ফলে প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘ হতে যাচ্ছে টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। এতে বৈশ্বিক কোভ্যাক্স উদ্যোগ সরবরাহ স্বল্পতায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারত সরকারের তিনটি সূত্রের বরাতে এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি ও উপহার হিসেবে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ভারত। কিন্তু এক মাস আগে সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে করে বিকল্প উৎস থেকে বিকল্প টিকা সংগ্রহ করতে বিপাকে পড়ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।

কোভ্যাক্স উদ্যোগে সহ-নেতৃত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সোমবার ভারতের টিকা না পাওয়া সৃষ্ট ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য দেশের উৎপাদনকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র তিনটি জানায়, ভারতে টিকাদান এখন অগ্রাধিকার পাবে। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যুও হচ্ছে রেকর্ড সংখ্যায়।

রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের সমর্থনে এক সূত্র বলেন, সব দেশকে সরকারিভাবে আমাদের জানানোর দরকার নেই, কারণ এটি করতে আমরা বাধ্য নই। এটি আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং কয়েকটি দেশকে বলে দেওয়া হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে রফতানির প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা না করার জন্য।

তবে এই বিলম্বের বিষয়ে যেসব দেশকে অবহিত করা হয়েছে সেগুলোর নাম বলেননি ওই সূত্র।

অপর দূটি সূত্র জানায়, রফতানি পুনরায় শুরুর নির্দিষ্ট সময় ভারতের পরিস্থিতির কারণে বদলে যেতে পারে। এটি নির্ভর করছে ভারত কত দ্রুত দ্বিতীয় ঢেউ শামাল দিতে পারে তার ওপর।

ভারতের টিকা রফতানি তদারকির দায়িত্বে থাকা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে কোনও সাড়া দেয়নি।

টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের এক মুখপাত্র জানান, এখন মূল মনোযোগ হলো দেশে টিকা সরবরাহ করা। এর আগে জুন মাস থেকে টিকা রফতানি পুনরায় শুরুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল কোম্পানিটি।

সূত্র: রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.