স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন মির্জা ফখরুল

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রিক সমাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এটা সরকারের একটা নীল নকশা। বাংলাদেশে কোনো মানুষের অধিকার নেই। সুপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, লয়ারদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, ডাক্তারের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সমাজকে বিভক্ত করে ধ্বংস করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে ঠাকুরগাঁয়ের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রোজিনার প্রতি যা হয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমরা কল্পনাও করতে পারি না রোজিনা মত একজন উচ্চ পর্যায়ের সংবাদকর্মী যিনি সব সময় সত্য প্রকাশ করেছেন তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি অনেক আগে থেকে বলে আসছে, এদেশে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই। ভিন্ন মতের হলেই সমস্যা। কোনটাকে তারা গণতন্ত্র বলছে? ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র বলা যায় না।

এখনও সময় আছে নিজেদের স্বার্থে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রোজিনা ইসলামের মত অনেকের সঙ্গে এমনটি ঘটেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশ করার কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন সংবাদকর্মীকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার কথা বললেও আজও কোনো হদিশ মেলেনি। সরকারের বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করার কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ সরকারের সময়ে সাংবাদিকদের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে। এমপি, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার হতে হয় সংবাদকর্মীদের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের জব্দ করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন কেউ সত্য প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য রোজিনার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে বললেও সরকার যেতে দিচ্ছে না। কারণ খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষের একজন সৈনিক। তিনি সাংবাদিকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল্লাহ মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.