সম্পদ মূল্যায়ন মানের নীতিমালা করছে এফআরসি

দেশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তথা প্রাইভেট লিমিটেড ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন/পুনর্মূল্যায়নে অরাজকতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। এ লক্ষ্যে সম্পদ মূল্যায়নের আন্তর্জাতিক মান (International Valuation Standard-IVS) এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের উপযোগী সম্পদ মূল্যায়ন নীতিমালা তৈরি করবে তারা।

এফআরসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ইতোমধ্যে এফআরসি, সম্পদমূল্যায়ন নীতিমালার এখটি খসড়া তৈরি করেছে। গত ৬ মে খসড়াটি সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর উপর জনমত আহ্বান করেছে সংস্থাটি। খসড়া প্রকাশের পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

দেশে সম্পদ মূল্যায়ন বা পুনর্মূল্যায়নের কোনো নীতিমালা না থাকায় সবচেয়ে বেশি অরাজকতা হয়েছে পুঁজিবাজারে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে আসার আগে অনেক কোম্পানি সম্পদ মূল্যায়নকারী সংস্থার যোগসাজশে নিজেদের সম্পদের মূল্য অস্বাভাবিকরকম বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইপিও অনুমোদন সহজ করা এবং ভাল প্রিমিয়াম পাওয়া বা তালিকাভুক্তির পর শেয়ারের দর বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার হীন লক্ষ্যে এই কাজ করেছে কোম্পানিগুলো। আবার তালিকাভুক্তির পরও অনেক কোম্পানি শেয়ারমূল্যকে প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে পুনর্মূল্যায়নের নামে সম্পদের মূল্য অনেক বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

অতীতে এক বছরের মধ্যে দুইবার সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের ঘটনাও ঘটিয়েছে পুঁজিবাজারের কোনো কোনো কোম্পানি। এই প্রবণতার লাগাম টেনে ধরতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাধ্য হয়ে নির্দেশনা জারি করে যে, ২ বছরের আগে কোনো কোম্পানি সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবে না।

বর্তমানে চার্টার্ড অ্যাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পদ মূল্যায়ন বা পুনর্মূল্যায়ন করে থাকে। এর জন্য আলাদা করে কোনো সনদ নিতে হয় না বা কোন সংস্থায় তালিকাভুক্তির প্রয়োজন হয় না।

এফআরসির নীতিমালা প্রণীত হওয়ার পর কোনো কোম্পানি আইপিওতে আসতে চাইলে সম্পদ মূল্যায়ন নীতিমালার আওতায় সম্পদ মূল্যায়ন করে আসতে হবে। তাতে সম্পদমূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতায় লাগাম পড়বে বলে আশা করছে এফআরসি।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.