সেই মাইক্রোবাস চালকের মরদেহ উদ্ধার

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস চালকের মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত মাইক্রোবাসচালকের নাম মারুফ হোসেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাবলু নামে স্থানীয় এক যুবক নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল মোন্নাফ আলী এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে পন্টুন থেকে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর বেলা দেড়টার দিকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হলেও ভেতরে চালককে পাওয়া যায়নি। সেই থেকে চালকের সন্ধানে তল্লাশি চলছিল।

জানা গেছে, মাইক্রোবাসের মালিকের নাম মাকসুদুর রহমান। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা। মাকসুদুরের শ্যালক সোমবার বিদেশ থেকে ফেরেন। তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিতে মারুফকে মাইক্রোবাসসহ পাঠানো হয়। মঙ্গলবার ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন।

৫ নম্বর ঘাটে বেলা ১১টার দিকে ঝড়ো বাতাসে পন্টুনে বেঁধে রাখা দড়ি ছিঁড়ে গেলে সেটি ঘাট থেকে সরে যায়। তখনই মাইক্রবাসটি নদীতে পড়ে ডুবে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সে সময় মারুফ গাড়ি থেকে বের হতে চেষ্টা করেও পারেননি।

নৌপুলিশ জানায়, মারুফের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.