‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘কিছুটা উন্নতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা একই রকম আছে। গতকাল আমি যেটা বলেছিলাম। বরঞ্চ একটু ইম্প্রুভ করেছে। সি ইজ ইম্প্রুভিং।’

বুধবার দুপুরে বনানীর বাসায় দলের ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব একথা জানান।

গত ২৭ এপ্রিল থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বর্তমানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন।

হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন খালেদা জিয়া। যদিও আল্লাহর রহমতে অনেক ইম্প্রুভ করেছেন। এখন তিনি রুম এয়ারে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। রুমের মধ্যে তার অক্সিজেন লাগছে না। তার প্রেসার, টেম্পারেচার, অক্সিজেন যেটাকে স্যাচুরেশন বলে এগুলো এখন আপাতত আল্লাহর হুকুমে কিছুটা নরম্যালের দিকে চলে এসছে।

তিনি আরও বলেন, তার মূল কতগুলো বিষয় আছে যে বিষয়গুলো এখনও বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে আছে। তার কিডনির সমস্যা আছে- দ্যাটস এ রিয়েল প্রোবলেম, তার হার্টের সমস্যা আছে। যেটাকে ডাক্তাররা এখনও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আছেন, তারা চেষ্টা করছেন, তারা দোয়া করছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজেটিভ’আসে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.