ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন রকেট হামলা, জরুরি অবস্থা জারি

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলার জবাবে দেশটির রাজধানী তেল আবিবসহ কয়েকটি শহরে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে শুধুমাত্র তেল আবিবকেই লক্ষ্য করে তারা অন্তত ১৩০টি রকেট নিক্ষেপ করে।

গাজা থেকে তেল আবিবের দূরত্ব প্রায় ৯৩ কিলোমিটার এবং ইসরায়েলের এতোটা ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে এত বিপুল সংখ্যক রকেট নিক্ষেপের ঘটনা এবারই প্রথম।

হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে লদ শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল। লদ শহরে মঙ্গলবার হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র একটি গাড়িতে পড়লে বাবা-মেয়ে নিহতের পর ওই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল। পাশাপাশি বিভিন্ন শহরে রকেট হামলার সতর্কতা ঘোষণা করা হয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি… গাজার আবাসিক এলাকায় শত্রুর হামলার জবাবে আমরা তেল আবিব ও এর আশপাশে ১৩০টি রকেট দিয়ে এ যাবতকালের বৃহত্তম হামলা চালিয়েছি।

হামাস বলেছে, তারা মাত্র ৫ মিনিটে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় আশকেলন শহর ও বন্দরনগরী এশদুদে ১৩৭টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। সংগঠনটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরায়েল তার আগ্রাসন বন্ধ না করলে দেশটির জন্য আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে।

এদিকে রকেট হামলার পর তেল আবিবের বেন গোরিয়েন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে যেন ফিলিস্তিনি রকেট প্রতিহত করা যায় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগ রকেটই ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না বরং সেগুলো বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে।

সূত্র: আল জাজিরা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.