‘সোহরাওয়ার্দীর গাছ কাটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হবে’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশবিদ ও নগরবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে সরকার। তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনে প্রকল্প এলাকার নকশা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ মঙ্গলবার (১১ মে) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হবে। সেই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কমিটির সবার আলোচনায় যদি প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করতে মত হয়, তাহলে সেটাও করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি। উদ্যানের যে গাছগুলো না কাটলেই নয়, কেবল সেগুলোই কাটা হয়েছে এবং এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্তত ১০ গুণ বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে। এরপরও মানুষের উদ্বেগকে বিবেচনায় নিয়ে ঈদের পর আমরা পরিবেশবিদসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও নগর পরিকল্পনাবিদদের সাথে আলোচনা করব এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে কীভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাজ চলমান রাখা যায় তার উপায় বের করার চেষ্টা করব। তবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তি সংগ্রামের সাথে সম্পর্কিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সকল ঐতিহাসিক স্থান যথাযোগ্য মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হলে তা দুঃখজনক। যদি এমন হয়, নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দায়িত্ব পালনে অসাবধান হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কোন প্রেক্ষাপটে গাছ কাটা হয়েছে তা যাচাই করে দেখা হবে। সেখানে ব্যত্যয় ঘটেছে কি-না দেখব। যারা প্ল্যান করেছেন, তাদের নিয়ে সরেজমিনে দেখে, যদি গাছ কাটায় সতর্ক না থাকে তবে ব্যবস্থা নেব।

‘নকশায় কতটুকু কী পরিবর্তন করতে হতে পারে, তা আলোচনা করে দেখব। আরও উন্নতি করা যায় কিভাবে, সেজন্য যা যা করণীয় তাই করব। গাছ কাটা আমাদের উদ্দেশ্য না। যত কম কাটা যায় বা কোনো গ্যাপ না রেখে কাজ কীভাবে করা যায়, আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে। কি করব তা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে, সবাইকে জানিয়েই করব।’

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন ও ঘটনাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতোমধ্যে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ, আধুনিক নগর উপযোগী সবুজের আবহে আন্তর্জাতিকমানে গড়ে তোলা ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.