খালেদা জিয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্রে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আজ রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ রোববার (০৯ মে) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। তবে তিনি কী মতামত দিয়েছেন, সেটি বলেননি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গতকাল শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, এখানে আদালতের মতামতের প্রয়োজন নেই। আইনে তা বলে না। এর মানে, তারা অর্থাৎ সরকার যে মতামত দেবে, সেটিই চূড়ান্ত হবে।

এদিকে আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য জানান, এ নিয়ে মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

গত বুধবার (০৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

এদিন রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তাররা অভিমত দিয়েছেন তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমরা ডাক্তারদের কাছে শুনিনি।

আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনে যে পর্যায়ে আছে, কীভাবে কী করা যেতে পারে সেজন্য আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে খুবই মানবিক।

এর আগে, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.