ফেরি বন্ধ, দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় হাজারো যাত্রী

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা বিস্তার রোধে আজ শনিবার (০৮ মে) থেকে পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরি ঘাটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। ফলে সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ভিড় করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপও বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিএ সকাল থেকে ঘাট এলাকায় মাইকিং করলেও যাত্রীরা ঘাট থেকে সরছেন না।

নদী পারের অপেক্ষায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ কয়েকশ যানবাহন। এছাড়া আটকা পড়েছে জরুরি ও বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকামুখী শত শত যাত্রী। একই অবস্থা মাওয়া ঘাটেও।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, রাত ৩টা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে সকল প্রকার ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। ফেরি কুঞ্চলতা সকাল ৮টা ১০ মিনিটের সময় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, দুটি পুলিশের পিক্যাপ ভ্যান ও ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়লে ওই ফেরিতে যাত্রীরা ওঠে। পরে ফেরিটি ঘাট এলাকায় ভিড়ে রয়েছে। এটি আর ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের নেমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, শিমুলিয়া ঘাটে এখনও ৪ শতাধিক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান এবং ৭টি অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি তেমন একটা নেই বললেই চলে। হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে পার হওয়ার জন্য জড়ো হয়েছে।

ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিতে করে পার হয়ে বাড়ি ফিরছেন। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এ প্রবণতা কয়েকগুণ বেশি দেখা যায়। ফেরিতে মানুষ পারের ছবি রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দিনজুড়ে। এমনকী কোনো কোনো ফেরিতে মানুষের জন্য জায়গা পায়নি গাড়ি। পরিস্থিতি দেখে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় নির্দেশনা দিলো বিআইডব্লিউটিসি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.