৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ রাজস্ব সংগ্রহ

আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব সংগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর মোট রাজস্ব সংগ্রহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে বেশি রাজস্ব পাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এক লাখ ৭৮ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে এনবিআর, যা পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (০৬ মে) এনবিআর চলতি অর্থবছরের নয় মাসের রাজস্ব সংগ্রহের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, রাজস্ব আয়ের তিনটি খাতেই আগের বছরের তুলনায় বেশি আদায় হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সরকার। এতে গড়ে প্রতি মাসে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা করে রাজস্ব সংগ্রহের কথা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহ টাকার অংকে বেশি হলেও প্রকৃত অর্থে বেশি হচ্ছে না। কারণ মূল্যস্ফীতি ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যোগ করলে রাজস্ব সংগ্রহে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়া উচিত। সে তুলনায় অর্ধেক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে এ অবস্থায় খুশি হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত আমদানি-রফতানি পর্যায়ে নয় মাসে ৫৩ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক থেকে ৬৮ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ৫২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এনবিআর এক লাখ ৬৬ হাজার ১১৭ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছিলো। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে ভ্যাটের রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা, স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট সংগ্রহ বাড়ানো ও আয়কর বাড়ানো অন্যতম। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে গত মার্চ পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ইতিবাচক অবস্থায় ছিলো। স্থানীয় বাজারে চাহিদাও বেড়েছিল, যেকারণে মোট রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.