পদত্যাগ করেও শেষরক্ষা হলো না আব্দুর রহিম কাসেমীর

হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (০৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে হেফাজতের সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি করে পদত্যাগ করেছিলেন কাসেমী।

তবে পুলিশ বলছে- হেফাজতের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে চালানো হেফাজতের সহিংসতার সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হামলার ঘটনার পর থেকে আব্দুর রহিম কাসেমীর গতিবিধি নজরদারি করে আসছিল পুলিশ। বিকাল ৪টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় করে শহরের দক্ষিণ দিকে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তাণ্ডবের ঘটনায় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলায় আসামি করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী গত ২৩ এপ্রিল হেফাজত থেকে পদত্যাগ করে সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত লিখিত বক্তব্যে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান কাসেমী।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধিতা করতে গিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৫৬টি মামলা হয়। এসব মামলায় ৪১৪ জনাকে এজাহারনামীয় আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৪১৫ জন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.