রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রলীগ ধাক্কাধাক্কি, ‘দুর্নীতিবিরোধীদের’ গুলি করার হুমকি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা নিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থানরত ‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার (০৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ সিন্ডিকেট সভা তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকদের বাধার মুখে ১১টার দিকে সেই সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের। মঙ্গলবার সকালে সভার আহ্বান করা হয়। সিন্ডিকেট সভায় অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে এই আশঙ্কায় আগে থেকে সভা বন্ধের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকরা।

তারা সকাল সাড়ে ৯টায় অবস্থানের ঘোষণা দেন। তবে তাদের আগেই উপাচার্যের বাসভবনের গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা। তাদের অধিকাংশই চাকরিপ্রত্যাশী।

সকাল ১০টার দিকে আন্দোলকারী শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতারা বাধা দেন। শিক্ষকরা জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষকদের ধাক্কা দেন। এ সময় আকাশ নামে ছাত্রলীগের বহিরাগত কর্মী শিক্ষকদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। আকাশের বাড়ি মেহেরচন্ডী এলাকায় বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আকাশ রাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে, গুলি করার হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকদের একজন বাংলা বিভাগের শফিকুন্নবি সামাদী বলেন, আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদেরকে বাধা দেওয়া হয় এবং লাঞ্ছিত করা হয়। এমনকি, আমাদের গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এভাবে হুমকি দেওয়ার সাহস কারো থাকার কথা না। এটি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দায়ী, যোগ করেন তিনি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। এ জন্য সবার সাহায্য প্রত্যাশা করছি। তবে হুমকির বিষয়ে অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.