গিনেস বুকে নাম ওঠানো আমের ওজন কত জানেন?

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঠফাটা রোদ আর প্রচণ্ড গরম। তবে এ সময় প্রাণে স্বস্তি জাগায় পাকা আমের স্বাদ। বাংলাদেশের বাজারে এখনো পাকা আম না পাওয়া গেলেও এরই মধ্যে খোঁজ মিলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমের। সেটি পাওয়া গিয়েছে কলম্বিয়ায়। শুধু খুঁজে পাওয়াই নয়, ইতিমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নামও উঠে গিয়েছে ওই আমটির।

কলম্বিয়ার বোয়াক্কা এলাকার গুয়াতার সান মার্টিনের এক ফার্মে দুই কলম্বিয়ান জার্মান অরল্যান্ডো নোভোয়া বারেরা এবং রেইনা মারিয়া মারোকুইন এই কীর্তি অর্জন করেছেন। কিন্তু কত ওজন ওই আমটির? জানা গিয়েছে, কলম্বিয়ার এই আমটির ওজন ৪.২৫ কেজি। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর প্রায় সাড়ে চার কেজির আমটিই বিশ্বের সবচেয়ে ভারী আম।

এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিল ফিলিপিন্স। সেখানকার আমটির ওজন ছিল ৩.৪৩৫ কেজি। তবে জার্মান এবং রেইনারের এই আমটি সেই রেকর্ডই এবার ভেঙে দিল।

এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জার্মান এবং রেইনা জানান, প্রাথমিকভাবে আমটি বড় হওয়ার সময়ই সেটি যে অন্যান্য ফলের থেকে আলাদা তা বুঝতে পারেন তারা। এরপর জার্মানের মেয়ে নেট ঘেঁটে জানতে পারেন, তাদের ফার্মের আমটিই বিশ্বের সবচেয়ে ভারী আম। অর্থাৎ সেটির ওজনের সমান আম বিশ্বে আর একটিও নেই। এরপরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠে যায় জার্মান এবং রেইনা ও তাদের আমটির।

এই প্রসঙ্গে জার্মান বলেন, এর মাধ্যমে আমরা গোটা বিশ্বকে জানাতে পেরেছি কলম্বিয়ার মানুষও কর্মঠ। যারা ভালবেসেই চাষবাস করেন এবং এত সুন্দর ফলও উৎপাদন করতে পারেন। আশা করি, করোনা আবহে এই সাফল্য এলাকার অনন্যাদের মুখেও হাসি ফোটাবে।

তিনি এই সাফল্য আবার গুয়াতার লোকজনকেই উৎসর্গ করেন। তবে আমটি কিন্তু আর গাছে নেই। ইতিমধ্যে জার্মানরা সেটি খেয়েও ফেলেছেন। আর আমটি যে মিষ্টি ছিল, সেটিও জানিয়েছেন তারা। তবে ইতিমধ্যে আমটির একটি রেপ্লিকা তৈরি করে স্মৃতি হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলেও দিয়েছেন জার্মান এবং রেইনা।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.