মাকে মারধর, ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তার মাকেও বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ এসেছে।

নির্যাতনের শিকার আইয়ুব খান (১৭) উপজেলার ৮ নম্বর চরএলাহী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলমি এলাকার জাবেদ হোসেনের ছেলে। কিশোরটি বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

শনিবার (০১ মে) রাত ১১টায় নির্যাতিত কিশোরের মা এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে, শনিবার দুপুর ১টায় উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলমি গ্রামের সাহাদাত নগরের খাল পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত কিশোরের মামা ইউছুফ জানান, তার ভাগিনা আইযুব খান দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তারা খুব কষ্ট করে চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে ৫ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান বর্গা চাষ করে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীরের ১৪টি গরু আইয়ুবদের ধানি জমির ধান খেয়ে ফেলে।

এটা দেখে আইয়ুব গরুগুলোকে লাঠি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে ধান ক্ষেত থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনা দেখে গরুর মালিক জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়। গরু মারধরের অভিযোগে জাহাঙ্গীর তার ছেলে মাসুদ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী সাইফুলসহ আইয়ুবদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা আইযুব এবং তার মাকে তাদের বাড়িতেই বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা আইয়ুব খানের মাকে মারধর করে বসতঘরে ঢুকিয়ে দেয়। ওই সময় আইযুব খানকে তাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে হামলাকারী জাহাঙ্গীরের বাড়ির একটি কড়ই গাছের সাথে দুই হাত বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী অমানুষিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ভুট্টু নামে এক স্থানীয় দোকানদার আইয়ুব খানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি অমানবিক। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছি। এ ঘটনায় তার পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.