সব ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি কাদের মির্জার

শান্তি প্রস্তাব দেওয়ার আটদিনের মাথায় আবারও ফেসবুক লাইভে এসে সকল তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ হুমকি দেন।

কাদের মির্জা বলেন, আমেরিকার এবারের নির্বাচন ব্যবস্থা আমি দেখে এসেছি। এই নির্বাচন ব্যবস্থা দেখে আমার বিবেকে আঘাত লেগেছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাকে জবাব দিতে হবে। আপনি আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের সকল তথ্য ফাঁস করে দেব। আমি আজকে স্পষ্ট ভাষায় বলছি, আমার এখানে দমন নিপীড়ন বন্ধ করেন। করোনার কারণে, রমজানের কারণে আমরা চুপ আছি। এভাবে নির্যাতন সহ্য করে আমরা আর কতদিন চুপ থাকব। ওবায়দুল কাদের সাহেব এগুলো বন্ধ করেন। এগুলো আপনার কারসাজি।

কাদের মির্জা আরও বলেন, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করে ফেলেছেন টাকা দিয়ে, কাউকে হুমকি দিয়ে। আজ ঢাকাতে আমাকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেন না। কিভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে হয় সেটা আমি জানি। আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না।

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের মির্জা প্রসঙ্গে বলেন, আপনার স্ত্রীর সব তথ্য আমার কাছে আছে। আপনার স্ত্রীর অপকর্ম আমরা তুলে ধরেছি। আপনার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারবেন না। সে এখনও দুদকের মামলার আসামি। আপনি চাপায় রাখছেন।

তিনি বলেন, পুলিশ আমার পৌরসভায় মানুষদের উঠতে দেয় না। পৌরসভার ক্যাম্পাস থেকে কিভাবে মানুষ ধরে নিয়ে যায়। এ সাহস তাদের কে দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কি এগুলো বন্ধ করবেন না। কি করতে চান? আপনি কি আমাকে সত্য বচন থেকে দূরে সরাতে চান? কিন্তু পারবেন না। আমি নামাজের বিছানায় বসে শপথ করেছি, আপনি পারবেন না।

আধা ঘণ্টা ধরে লাইভে কাদের মির্জা বলেন, আগে আমার এলাকার নিজস্ব অপকর্ম গুলো তুলে ধরতে হবে। নোয়াখালীর অপকর্ম, একরাম নিজামের অপকর্ম তুলে ধরেছি। কি বিচার করে আমরা দেখি। একরাম-নিজাম দুদকের মামলার আসামি। আজকে আমরা সত্য কথা বলতে গেলে আমাদের মুখ বন্ধ করার জন্য আমাদের কর্মীদের নানাভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের আপনাকে জবাব দিতে এ গুলার জন্য, অপেক্ষা করেন। গণ-আদালতে জবাব দিতে হবে একদিন। আপনি ছাড় পাবেন না, রেহাই পাবেন না।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, আপনি জুয়েল্লার (জুয়েলের) হুঙ্কারে কেন ভয় পান। আপনার যদি ক্রটি না থাকে। এ ছেলে হুঙ্কার আপনাকে কিভাবে দেয়। আপনার ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকর সে। এ চাকর কিভাবে লং-আইলাইনে বাড়ি করে এটার হিসাবও আপনাকে দিতে হবে। আপনি তাকে দিয়া নাকি ঢাকাতেও চাঁদাবাজি করেন। সে বলছে আমাকে দিয়া সবার থেকে চাঁদা উঠায়। আর সে সেখান থেকে সিংহ ভাগ নিয়া, লং-আইলাইনে বাড়ি করছে, গাড়ি কিনছে। আপনার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা আজকে আমেরিকা, সিঙ্গাপুরে বাড়ি আছে। এ গুলোর সব তথ্য আমার কাছে আছে। মুখ বন্ধ করতে পারবেন না।

কাদের মির্জা বলেন, আপনি ওবায়দুল কাদের আমার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমকে বাঁচায় রাখে। অস্ত্রবাজি বন্ধ করেন। আমি যদি অস্ত্রের রাজনীতি করতাম তাহলে তোমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হতাম। অস্ত্র আছে, ফেনী ও নোয়াখালীতেও অস্ত্র আছে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ আমি অস্ত্রবাজির রাজনীতি করি না। আমিতো এখন দলে নেই। দলের নেতারা যদি কোন কারণে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অস্ত্রের ব্যবহার করে তখন পরিস্থিতি অস্থিশীল হলে এটার জন্য কে দায়ী হবে? আরো যখন কোন মায়ের বুক খালি হবে এটার জন্য কে দায়ী হবে?

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.