গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তরুণী রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে লাশ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহত মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি মুনিরা তার বোনকে ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি বিপদে পড়েছেন। বোনকে সেখানে আসতেও বলেন তিনি। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে মুনিয়ার বড় বোন দরজা বন্ধ পান। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খোলা হচ্ছিল না। এর কিছুক্ষণ আগে থেকে মুনিয়ার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ফ্ল্যাট মালিকের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আরও বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন।

তিনি বলেন, মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। সেখানেই থাকে তার পরিবার। মুনিয়ার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত কি না তাও দেখা হচ্ছে।

এদিকে মামলার বাদীর বরাত দিয়ে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, মুনিয়ার সঙ্গে একটি শিল্প গোষ্ঠীর এক কর্মকর্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গুলশানের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মুনিয়া সেখানে একাই থাকতেন। মুনিরার সঙ্গে যার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তিনি ওই বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.