আরমানিটোলার সেই নবদম্পতি লাইফ সাপোর্টে

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ছয় তলা ভবনে রাসায়নিকের গোডাউনে লাগা আগুনে দগ্ধ চারজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় রাখা হয়েছে লাইফ সাপোর্টে। আইসিইউতে থাকা বাকি দুজনের অবস্থাও ‘ক্রিটিক্যাল’।

লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে অগ্নিকাণ্ডে আহত নবদম্পতি মুনা সরকার ও আশিকুজ্জামান খানের। মুনা সরকার ও তার স্বামী আশিকুজ্জামান খানের বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় মাস আগে। মুনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আশিকুজ্জামান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র।

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিজের বড় ভাইকে দেখেননি আশিকুজ্জামানের ছোট ভাই সালমান ফারসি। দেখেননি তার মা–বাবাও। সালমান আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, চিকিৎসকেরা বলেছেন, ৭২ ঘণ্টার ভেতর জ্ঞান না ফিরলে কিছু করার নেই।

সালমান ফারসি বলেন, (ভাই ও ভাবিকে) আমাদের দেখতে দেয় নাই। শুধু ছবি দেখিয়েছে। দেখলাম অক্সিজেন দিয়ে রাখছে।

আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন আসলে করণীয় নেই। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।’

আইসিইউতে চিকিৎসাধীন চারজনের শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সামন্ত লাল সেন। মুনা ও আশিকুজ্জামান ছাড়া বাকি দুজনের কী অবস্থা, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারজনের কেউ আসলে শঙ্কামুক্ত নয়। সবারই শ্বাসনালিতে সংক্রমণ হয়েছে বেশি।

ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া ১৬ জন রোগীর অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো। তবে খুব বেশিও ভালো না। তাদের কয়েকদিন অবজারভেশনে রাখতে হবে। অন্তত সপ্তাহ খানেক না গেলে কিছু বোঝা যাবে না।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ম্যানসনে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রায় ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় শুক্রবার সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.