পাল্লেকেলেতে মনে রাখার মতো দিন বাংলাদেশের

ব্যাটসম্যানরা বোলারদের ঘাম ঝরিয়েই যাচ্ছেন, বল কুড়াতে কুড়াতে নাভিশ্বাস ফিল্ডারদের। না, ব্যাটিং দলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ড নয়, বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষও জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল টেস্ট খেলুড়ে দেশ নয়, শ্রীলঙ্কা।

হ্যাঁ, পা্ল্লেকেলেতে এমনই অবিশ্বাস্য একদিন উপহার দিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্তরা। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন তারা।

নাজমুল হোসেন শান্তর শতক ও তামিম-মুমিনুলদের ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। প্রথম দিনে পুরো ৯০ ওভারই খেলা হয়েছে। তাতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ১২৬ রানে অপরাজিত আছেন। সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুল হক ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

এদিন বাংলাদেশের একমাত্র হতাশা বলতে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি না পাওয়া। দারুণ খেলতে থাকা তামিম ৯০ রানে আউট হন। আর দিনের শুরুতে সাইফ হাসান শূন্য রানে ফিরেছিলেন। বাকি গল্পটা বাংলাদেশ লিখেছে মনের মতো করে।
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে মাত্র একটি করে উইকেট পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। শেষ সেশনে কোনো উইকেটই পায়নি দলটি।

আসলে উইকেটে দেখতে যেমনই হোক, বোলারদের জন্য ছিল না তেমন কিছু। লঙ্কান বোলাররাও অসাধারণ হতে পারেনি। আর বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পেরেছে উইকেট ছেড়ে দেওয়ার রোগ থেকে। তাতেই সফরকারীদের জন্য দিনটা হয়ে উঠেছে সোনায় সোহাগা। যেখানে দাঁড়িয়ে বড় স্বপ্ন দেখাই যায়।

টেস্ট ক্রিকেটে দিন শেষে এমন স্বস্তির দেখা খুব কমই পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম আউট হয়ে যাওয়ার পর যে হতাশাটা, সেটি দিন শেষে দারুণভাবে কাটিয়ে দিয়েছেন নাজমুল-মুমিনুল। এ মুহূর্তে স্কোরবোর্ডের যে চেহারা, তাতে বাংলাদেশ এই টেস্ট জয়ের জন্য বড় একটা সংগ্রহে চোখ রাখতেই পারে। এখনো পর্যন্ত পাল্লেকেলেতে উইকেট পুরোপুরি কথা বলেছে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। এই উইকেটে স্থিতধী ব্যাটিংয়েই ফল মিলেছে বাংলাদেশের। কাল দ্বিতীয় দিনেও পাল্লেকেলের ব্যাটিং সহায়ক পরিবেশের সুযোগটা কোনোভাবেই ছাড়তে চাইবেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.