আজ ব্যাংক খোলা

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউন চলাকাকালে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সব ব্যাংক খোলা থাকবে। ব্যাংকিং লেনদেন চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরুরি সভায় গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত হয়। ফলে লকডাউনে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিন সীমিত পরিসরে ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকবে।

নতুন সময় অনুযায়ী, ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। তবে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যাংকের প্রতিটি শাখা একদিন পরপর খোলা থাকবে। অর্থাৎ শাখাগুলো একদিন বন্ধ থাকলে পরের দিন খোলা থাকবে। এই নিয়মে চলবে উপজেলা পর্যায়ের শাখাতেও। জেলা পর্যায়ে সদর শাখা খোলা থাকবে। আর বৈদেশিক বাণিজ্য শাখাগুলো খোলা থাকবে নিয়মিত।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া ১৫ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল হকের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দৈনিক ব্যাংকিং সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে ২টা ৩০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। এর মধ্যে লেনদেন হবে ১০টা থেকে একটা পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টিং, বাজেটিং, এফআরটিএমডি, আইটি, পেমেন্টে সিস্টেম, সিএসডি-ওয়ান এবং সিএসডি বিভাগ খোলা থাকবে। সীমিত জনবলে এসব বিভাগ চালাতে হবে। অন্যান্য বিভাগ বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও সোমবার (১২ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এক সপ্তাহের জন্য দেশের সব ব্যাংকের শাখা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই সময়ে কেবল স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও কাস্টমসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা রাখার কথা বলা হয়। পরে অপর আদেশে ব্যাংক খোলা রাখার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.