বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ দুই দিন

পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে টানা দু’দিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় শর্ত সাপেক্ষে সচল থাকবে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ব্যবস্থা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এ পথে আমদানি-রফতানি হবে না। ১৫ এপ্রিল আবার কার্যক্রম চালু হলেও ১৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটিতে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

১৭ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে পুনরায় স্বাভাবিক নিয়মে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল হবে বলেও জানান তিনি।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র জানান, প্রতিবছরের পহেলা বৈশাখে ভারতের ব্যবসায়ীরা বর্ষবরণ পালন করেন। এদিন ছুটি কাটাতে বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। বিষয়টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এ সময় শর্ত মেনে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তবে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে সাধারণ আমদানি ও রফতানি হয় না। এ বন্ধের মধ্যেও বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে দু’দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। বেনাপোল বন্দর থেকেও বাংলাদেশি পণ্য প্রায় ১৫০টির মতো ট্রাক যায় ভারতে। প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.