ব্যাংকের ভেতরে-বাইরে লাইন, টাকা তোলার হি‌ড়িক

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় বন্ধ থাকবে ব্যাংক। ফলে লকডাউনে বন্ধের আগের দিন টাকা উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংকের শাখাগুলোয় টাকা জমা কিংবা ইউটিলিটি বিল পরিশোধের তুলনায় উত্তোলন হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।

আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেশির ভাগ ব্যাংকেই বাইরে গ্রাহকের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানালেন, গ্রাহকের চাপ রয়েছে, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে বলে বাইরে গ্রাহকের লাইনটা বড় হচ্ছে।

মতিঝিলে সব কটি ব্যাংকের সামনেই সকালে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে থেকেই ছিল লম্বা লাইন। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে গ্রাহকদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেছে।

একই অবস্থা দেখা গেছে এটিএম বুথগুলোতেও। সেখানেও স্বাভাবিক সময়ে তুলনায় বেশি গ্রাহকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে শাখার চেয়ে তুলনামূলক এটিএম বুথগুলোতেই বেশি স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। একসঙ্গে একাধিক গ্রাহককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বুথ বা ফাস্ট ট্র্যাকে। ঢোকার সময় হাত-পায়ে দেওয়া হচ্ছে জীবানুণাশক।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ব্যাংক লেনদেন শুরুতেই গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ব্যাংকের প্রবেশ করতে চাচ্ছেন। তবে মাস্কবিহীন ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ ছাড়া কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

আর গ্রাহকরা বলছেন, কাল (বুধবার) থেকে কঠোর লকডাউন হচ্ছে, কবে নাগাদ শেষ হবে কিছুই জানি না। নিজেদের স্বাস্থ্য ও নিত্যপণের কথা মাথায় রেখে নগদ টাকা হাতে রাখা চাই।

আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চলবে। সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর আগে চাপ বাড়তে পারে, এ কারণে গতকাল সোমবার রাতে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ সময়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যাবে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করা যায়। নিজ ব্যাংকের বুথ ও অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে একই সীমা প্রযোজ্য হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.