এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ

বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা (মুসকসহ) নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আর সরকারি পর্যায়ে এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা (মুসকসহ) নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ দাম ঘোষণা করে বিইআরসি। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এর আগপর্যন্ত বেসরকারি খাতের কোম্পানি নিজেরাই এলপিজির দাম নির্ধারণ করত। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, গণশুনানি শেষে সবকিছু বিচার-বিবেচনা ও দাখিল করা তথ্য যাচাই-বাছাই করে একাধিক সভার মাধ্যমে কমিশন দাম চূড়ান্ত করেছে। এই দাম আজ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।

বিইআরসির আদেশে বলা হয়, গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, দাম সারা দেশে অভিন্ন থাকবে। ভোক্তারা বাড়তি দাম দেবেন না। কমিশনের আদেশ বাস্তবায়ন করতে লাইসেন্সধারীরা বাধ্য। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান।

গত বছরের ডিসেম্বরে বিইআরসিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় এলপি গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। গণশুনানির আগে তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এরপর গণশুনানিতে সরবরাহকারী কোম্পানির প্রস্তাব, কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।

বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, বাসা-বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয় বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলো। আর সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার কথা বলে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেড (এলপিজিএল)। তবে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি জানায়, বেসরকারি খাতে ৮৬৬ টাকা ও সরকারি খাতে এলপিজিএলের দাম ৯০২ টাকা করা যেতে পারে।

বেসরকারি খাতে প্রায় ২০ বছর ধরে এলপি গ্যাসের ব্যবসা চলে আসছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বাজারে এর চাহিদা বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ব্যবসার পরিধিও। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও গ্রাহকের জন্য এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারেনি বিইআরসি। অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে বাধ্য হয়ে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করে বিইআরসি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.