যে যেভাবে পারছেন ঢাকা ছাড়ছেন

দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ কমিয়ে আনতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দিচ্ছে সরকার। এ সময় বন্ধ থাকছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। তবে খোলা থাকছে শিল্প-কারখানা। সর্বসাধারণকে এ সময় সতর্ক থাকতে হবে, ঘরের বাইরে আসা যাবে না। শুধু জরুরি সেবা চালু থাকবে। বন্ধ থাকবে যান চলাচল।

লকডাউনের খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মজীবীরা। দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। এদের বেশিরভাগই দিন আনে, দিন খায়। ফলে লকডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ট্রাকে গাদাগাদি করে ছুটছেন গন্তব্যে। তারা বলছেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এলেও অনিশ্চয়তা নিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছেন পরিবারের কাছে। এদিকে বাস টার্মিনালে মিলছে ভাড়ায় প্রাইভেটকার।

যারা ঢাকা ছাড়ছেন গণমাধ্যমকে তারা বলেন, ট্রাক দিয়ে যাব তবে ভাড়া অনেক চায়। সামনের লকডাউনে নাকি গাড়িও চলতে দেবে না। তাই গ্রামে চলে যাচ্ছি।

হাঁকডাক জটলা দেখলে মনে হবে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার তাড়া। শত শত মানুষের ভিড়। এদের কেউ দিনমজুর, কেউ রিকশাচালক, আবার কেউ নির্মাণশ্রমিক। প্রায় সবার গন্তব্য উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ তাই শেষ ভরসা পণ্যবাহী ট্রাক।

ট্রাক চালকরাও সুযোগ বুঝে চড়া দাম হাঁকছেন। তাই রাত বাড়ে কিন্তু নিম্ন আয়ের এসব মানুষের অপেক্ষার পালা শেষ হয় না।

তারা বলেন, মাত্র এক মাস আগে ঢাকায় ফিরেছিলাম। এখন আবার লকডাউন দিয়েছে। তাই আবার ফিরে যাচ্ছি।

একই চিত্র গাবতলী বাস টার্মিনালে। স্বাভাবিক সময়ে সরগরম থাকলেও সরাসরি বাস টার্মিনালের ভেতরে দাঁড়িয়ে আছে। তাই অপেক্ষারত যাত্রীদের যেতে হবে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকারে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.