সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে আজ

হঠাৎ করেই দেশে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণের লাগাম টানতে আগামী বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ যাচ্ছে সরকার।

‘লকডাউন’ সফল করতে কাজ শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে গতবারের মতোই ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজ নিজ জেলার রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

আজ রোববার (১১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ‘লকডাউনের’ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে সেটি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটিও জানা যাবে আজ।

‘লকডাউনের’ সময় শুধু জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, গণমাধ্যম, ফায়ার সার্ভিস, মানুষ ও প্রাণীর খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী যানবাহনের মতো বিষয়গুলো নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে। ওষুধের দোকানও খোলা রাখা যাবে। ব্যাংকও নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার নির্দেশনা আসবে বলে জানা গেছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে ৬৬ দিন করা হয়েছিল। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ২৯ মার্চ যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়, সেটি কার্যত কোনো ফল দেয়নি। এই কঠোর বিধি-নিষেধও নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যে কারণে দুই দফায় সেই বিধি-নিষেধ শিথিল করে সরকার। এরপর আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ কথা বলা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। বৈঠকে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘লকডাউনের’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেবেন। সেই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.