মেট্রোরেলের অগ্রগতি ৬২ শতাংশ, শিগগিরই ভাড়া নির্ধারণ

মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬২ শতাংশ। এর প্রথম অংশ উত্তরা তৃতীয় ফেইজ থেকে আগারগাঁও এর অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ। ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ভাড়া নির্ধারণে ভারতসহ অন্যান্য দেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এসব দেশে যেসব বিষয় আমলে নিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ একই পথ অনুসরণ করবে।

মেট্রোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটি এসব তথ্য জানায়।

বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) ডিএমটিসিএল মেট্রোরেল-৬ এর সর্বশেষ অগ্রগতি প্রকাশ করে। প্রকাশিত অগ্রগতিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএমটিসিএল জানায়, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৬২ শতাংশ। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের মধ্যে ১৩ দশমিক  ২৭৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। ডিপোর অভ্যন্তরে ১৬ দশমিক ৯০ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। ভায়াডাক্টের উপরে ১০ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক প্লিন্থ কাস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮৪  শতাংশ, দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ।

ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ভাড়া নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছে, আমরা তথ্য দিয়েছি। আমরা বলেছি, আশপাশের দেশে যেভাবে ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে সেইভাবে ভাড়া নির্ধারণ হতে হবে। আমাদের পাশের দেশ ভারতে যেভাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এটা ফলো করা যেতে পারে।

ঢাকার যানজট নিরসন ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রুততর ও নির্বিঘ্ন করতে ২০১২ সালে গৃহীত হয় মেট্রোরেল প্রকল্প। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.