রাইড শেয়ারিং চালুর দাবিতে রাজধানীতে চালকদের বিক্ষোভ

লকডাউনের মধ্যে শহরগুলোতে গণপরিবহন চালুর পর রাইড শেয়ারিংয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মোটরবাইক চালকরা।

আজ বুধবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মগবাজার, খিলক্ষেত, মিরপুর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা বিক্ষোভ করে। এসময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

চালকরা জানান, চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন। সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।

মোটরসাইকেল চালক নুরুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, রাস্তায় দাঁড়ালেই আমাদের বিনা অপরাধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে পুলিশ। তার ওপর রাইডশেয়ারিং বন্ধের ঘোষণা। আমরা চলব কীভাবে। চাকরি হারিয়ে আমরা রাইড শেয়ারিংয়ের ওপর নির্ভর করেই পেট চালাই।

অপর এক মোটরসাইকেল চালক জানান, সব যানবাহন চলছে। বিআরটিসির মতো গাড়িতে দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন করছে। সেখানে যদি করোনা না ছড়ায় আমরা একজন যাত্রী নিয়ে কীভাবে করোনা ছড়াই? এসব অত্যাচার আমরা মেনে নিতে চাই না। তাই আজ রাস্তায় নামলাম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তারা বেশ কিছু দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি আমরা শুনেছি। তবে তারা বেশিক্ষণ সড়কে অবস্থান করেননি। আধাঘণ্টা থেকে চলে গেছেন।

গত ২৯ মার্চ করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) আবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে রাইড শেয়ারিং এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.