ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে

কোভিড-১৯ সহ যেকোনো মহামারীর সময়ে ব্যাংকিং কারযক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে সকল লেনদেন চালু থাকেবে। তবে পুঁজিবাজারে লেনদেন কোন নিয়মে চলবে তা জানা যাবে আগামীকাল ৪ এপ্রিল, রোববার।

বিএসইসি ও ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ২২ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে।

বিএসইসি জানায় , লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। এই নির্দেশনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) দেওয়া হয়েছে।

ডিএসই সূত্র জানায়, কমিশন ডিএসইকে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। শিফটিং পদ্ধতি ও হোম অফিস ব্যবস্থার মাধ্যমে পুঁজিবাজার খোলা রাখা হবে।

এর আগে গত বছরের ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত করোনার কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। তাতে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৯ হাজার কোটি টাকা।

করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যাংকগুলো লকডাউনের সময় কোন নিয়মে চলবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত রোববারের মধ্যে জানিয়ে দেবে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.