পতন আর উদ্বেগে শেষ হলো সপ্তাহের লেনদেন

টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ সূচকের নিম্নমুখী ধারায় শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত সপ্তাহের প্রথম দু’দিন সূচকের উর্ধমুখী ধারা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির সঞ্চার করলেও শেষ দু’দিনে তা মিলিয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগে অস্থির হয়ে উঠে বাজার। আর এই উদ্বেগ নিয়েই শেষ হয় সপ্তাহের লেনদেন।

গত সপ্তাহে বাজারে সব ধরনের সূচক-ই ছিল নিম্নমুখী। এই সময়ে মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমে যায় বাজারে। শেয়ারের দর হারায় বেশিরভাগ কোম্পানি। কমে বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্তা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশের শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৩৩ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত ছিল ৪২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৭১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১ টির, কমেছে ১২৩ টির। আর ১৫৭ টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। অন্যদিকে ৩টি কোম্পানির কোনো শেয়ার কেনাবেচা হয়নি আলোচিত সপ্তাহে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমেছে। আগের সপ্তাহে তা ১০৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমেছিল। সপ্তাহের শুরুতে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৩২৭ দশমিক ২২ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা ৫ হাজার ২৭০ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

গত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমেছে। আগের সপ্তাহে সূচকটি ৫২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছিল। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৫ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমেছে, যা আগের সপ্তাহে ২৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছিল।

গত সপ্তাহে বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গেছে লেনদেনে। এ সময়ে বাজারে লেনদেন ব্যাপকভাবে কমেছে। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে দৈনিক ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৬০১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ৯৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.