করোনা আক্রান্তে ফের রেকর্ড, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। তবে টানা কয়েকমাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও ফের হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু বেশ বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ছয় হাজার ৪৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্ত। এরআগে বুধবার (৩১ মার্চ) করোনা রোগী শনাক্ত হয় পাঁচ হাজার ৩৮৫ জন।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৫৩৮৫, ৫০৪২, ৫১৮১, ৩৯০৮, ৩৬৭৪, ৩৭৩৭, ৩৫৮৭ ও ৩৫৬৭ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৬৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৮ হাজার ১৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গতকাল দেশে ২৬ হাজার ৯৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর মোট পরীক্ষার ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ পজিটিভ।

আজ বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৬৪৬৯ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৬১৭৭৬৪ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৫৯ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ৯১০৫ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ২৫৩৯ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৫৪৪৯৩৮ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৯ জন মারা গেছেন। যা দেশে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গতকাল বুধবার (৩১ মার্চ) করোনায় মারা যান ৫২ জন।

গত বছরের ৩০ জুন দেশে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২৬ জুলাই ও ২৬ আগস্ট দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৬ জুন করোনায় মারা যান ৫৩ জন।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৫২, ৪৫, ৪৫, ৩৫, ৩৯, ৩৩ ও ৩৪ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১০৫ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুই হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৮ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.