ফের বাড়ল মুরগির দাম

বাজারে আরেক দফা বাড়ল মুরগির দাম। এর আগে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া দামে মুরগি বিক্রি হয়ে আসছিল। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আর পাকিস্তানি কক মুরগির দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।

আজ (২৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বয়লার মুরগি এ সপ্তাহের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ কোটি টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগের দামেই মুরগি বিক্রি হয়েছিল। কয়েকদিন পর শবেবরাত হওয়ায় এখন মুরগির চাহিদা বেশি। এ কারণেই এখন মুরগির দাম বেড়ে গেছে। শবেবরাতের আগের দিন মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। তবে পাইকাররা দাম না বাড়ালে মুরগীর দাম বাড়বে না বলেও জানান তারা।

শবেবরাতকে সামনে রেখে মুরগির দাম বাড়লেও স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পর গত সপ্তাহে দাম কমা পেঁয়াজের দাম নতুন করে আরও কমেছে। এতে দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। এখন ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।

পেঁয়াজের পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে রসুন, আদা, জিরা এবং ডিম। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা। জিরা পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।

এদিকে, দুই সপ্তাহ আগে দুইশ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সজনের ডাটার দাম কমে একশ টাকায় চলে এসেছে। বাকি সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শশার দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শশার দাম বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে পটল ও ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

এছাড়া বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপির ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

কয়েকমাস ধরেই চালের দাম চড়া। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হলেও চালের দাম কমেনি। খুচরা বাজারে ৬৩ টাকা পর্যন্ত কেজিতে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালও ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেখা যায়- প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬১ থেকে ৬৩ টাকা কেজিতে, নাজির ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা আর আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মোটা চালের দামও ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের দামে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অর্থসূচক/এনএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.