বিয়ে-বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন কেন ডিজিটাল নয়, হাইকোর্টের রুল

বিয়ে ও ডিভোর্সের ক্ষেত্রে পারিবারিক জীবনের বৃহত্তর সুরক্ষায় ডিজিটালাইজ রেজিস্ট্রেশনের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল।

এর আগে গত ৪ মার্চ ক্রিকেটার নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান এবং তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠন এ রিট দায়ের করেন।

রিটে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

এতে বিয়ে-ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচিয়ে সম্মান রক্ষা এবং পারিবারিক জীবন বাঁচাতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

ক্রিকেটার নাসিরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নাদিম, মাগুরার শালিখা উপজেলার বদরুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. সোহাগ হোসেন, উত্তরা মডেল টাউনের ৫ নম্বর সেক্টরের মো. নজরুল বিশ্বাসের ছেলে মো. রাকিব হাসান এবং নোয়াখালী সদরের আমির হোসেনের ছেলে মো. কামরুল হাসান।

আইনজীবীর দাবি বিবাহ ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালি না হওয়ায় ভুক্তভোগীরা অসংখ্য মামলায় জড়াচ্ছেন। তাই ছবিসহ ওয়েবসাইটে বিবাহ ও ডিভোর্সের রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে যে কোনো পক্ষ বিয়ের আগে তা দেখে নিতে পারেন। আর কমবে মামলার সংখ্যাও। ছেলে মেয়েরা সম্মানহানি থেকে বাঁচবেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.