নাইজারে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ১৩৭

আফ্রিকার দেশ নাইজারে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। গত রোববার (২১ মার্চ) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মালি সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের ওপর এই হত্যাকাণ্ড চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে ৪০ জন নিহতের তথ্য জানায়। পরে তা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়ায়।

তবে সোমবার (২২ মার্চ) দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে ১৩৭ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে।এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে পৌছেঁ এ তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার নিন্দা জানিয়ে নাইজারের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ ধরনের বর্বর ঘটনা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ হামলাকে স্মরণকালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা হিসেবে উল্লেখ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

নাইজারে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ রয়েছে। সর্বশেষ রোববার আদালত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহামেদ বাজৌমের নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ফের রক্তাক্ত হয় দেশটি। এদিন বিকালে সীমান্ত সংলগ্ন একাধিক গ্রামে লোকজনকে জিম্মি ও গুলি করে হত্যা শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বন্দুকধারীরা।

নাইজারের সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিয়ে কথা বলেছেন সরকারের মুখপাত্র জাকারিয়া আবদুর রহমান। তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের জান-মাল টার্গেটের ক্ষেত্রে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অঞ্চলটিতে সম্প্রতি উগ্রপন্থীদের ব্যাপক হারে গ্রেফতারের প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।

অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.