চাল ও মুরগির দাম কমছেই না

কয়েকমাস ধরেই চালের দাম চড়া। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হলেও চালের দাম কমেনি। খুচরা বাজারে ৬৪ টাকা পর্যন্ত কেজিতে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালও ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া মুরগির বাজার।

আজ (১৯ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও, বাসাবো, মাদারটেকসহ কয়েকটি বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজিতে, নাজির ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা আর আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মোটা চালের দামও ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এপ্রিলের আগে বাজারে চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এপ্রিলের পরে বাজারে বোরো চাল আসলে দাম কিছুটা কমবে।

এদিকে সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির ট্রাকে ১৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৪০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। কেজিতে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগির কেজি ৩৩০ টাকা। তবে লেয়ার এখানো ২০০ থেকে ২২০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে। আর এ সপ্তাহে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস ও ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সবজির বাজারে স্বস্তি রয়েছে। টমেটো, শিম, শালগম, মুলার মতো শীতকালীন সবজি এখনই পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ২০ টাকা কেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া মান ও আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপিও পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। কেজি প্রতি ভালো মানের বেগুন মিলছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। করলার কেজিও ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সব ধরনের শাকের আঁটি মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। বাজারে কেজি প্রতি আলু ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মাছের দামেও স্বস্তি রয়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অর্থসূচক/এনএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.