অস্থিতিশীল মুরগির বাজার, বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্থিতিশীল মুরগির বাজার। প্রতি কেজি কক মুরগির দাম এখন ৩৫০ টাকায় ঠেকেছে। অথচ মাত্র মাসখানেক আগেও এর দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এর সঙ্গে চলতি সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। এছাড়া বাজারে লেবুর দামও অস্বাভাবিক।

আজ (১২ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, মাসখানেক আগে দেশি মুরগির কেজি ছিল ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। কয়েক দফায় দাম বেড়ে চলতি সপ্তাহে দেশি মুরগির কেজি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি মাসখানেক আগে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে চলতি সপ্তাহে তা ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ব্রয়লার মুরগী কেজিতে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ কম। তাছাড়া এই সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। তাই মুরগির দাম বেড়েছে।

তবে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজিতে। এদিকে পেঁয়াজের কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন ফরিদপুরের মুড়ি কাটা পেঁয়াজ নামে পরিচিত দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আগে আগে ওঠা এ পেঁয়াজের সরবরাহ আস্তে আস্তে কমে আসছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলেও ধারণা করছেন তারা।

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমরার কেজি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, প্রতিকেজি লতি ৬০ টাকা ও আলু ১৮ টাকা।

বাজারে প্রতি হালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। আর কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা। পেঁপে প্রতি কেজি ২০ টাকা, খিরা ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা। মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা। লেবুর দাম বেড়ে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও দেশি রসুন (কাঁচা) প্রতি কেজি ৬০ টাকা ও আদা ৬০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অর্থসূচক/এনএইচ/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.