ওবায়দুল কাদের সাহেব আমি রাজাকারের সন্তান নই: কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আমি রাজাকারের সন্তান নই। আপনি পদ-পদবির জন্য মেনে নিতে পারেন, আমি মেনে নেব না।’

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকালে বসুরহাটে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বসুরহাটের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার রাজনীতির উৎসাহদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দুই রত্ন সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এরা দেশকে ভালোবাসেন। আমি তাদেরই অনুসরণ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুজিব শতবর্ষ পালনের জন্য মেলা ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ করেছি। বাদল-রাহাতের নেতৃত্বে সোমবার (৮ মার্চ) রাতে অস্ত্রধারীরা সেটা ভেঙে দিয়েছে। তারা সিসি ক্যামেরা ভেঙেছে, অস্ত্র হাতে দোকান-অফিস ভাংচুর করেছে।’

কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করা হলেও একজনকে ছেড়ে দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডকে কেউ কেউ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছে। জজ মিয়া নাটকের ষড়যন্ত্র চলছে। আমি সেটা মানবো না।’

তিনি দাবি করেন, ‘সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ঘটনা এনএসআই/ডিজিএফআই দিয়ে তদন্ত করতে হবে। তা নাহলে ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে আমি জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত থাকলেও একটি পক্ষ প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমাকে আমার নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, তুমি চুপ থাক, আমি বিষয়টা দেখছি। এজন্য আমি কোনো কর্মসূচি দেইনি। ৭ মার্চের অনুষ্ঠান শুধু ফুল দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান মিন্টু, ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.