‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পরাধীন জাতির মুক্তির এক ঐতিহাসিক বার্তা’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসীর একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর। যেখানেই অন্যায় অবিচার, সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন। পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী যাতে বঙ্গবন্ধুকে বিদ্রোহী বলতে না পারে, সেইভাবে কৌশলে বাঙালিদের মুক্তির বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

আজ সোমবার (০৮ মার্চ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, একটি জাতিকে কিভাবে জাগ্রত করতে হবে তা বঙ্গবন্ধু ভালো করেই জানতেন। ১৯৭১ সালের এদিনে (৭ মার্চ) তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহ্বানের অধীর অপেক্ষায় ছিল সমগ্র বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। স্বাধীনতার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তা বিদ্যুৎ-গতিতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপ্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংস্বম্পূর্ণতা অর্জন করছে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হয়েছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস. এম. সেলিম রেজা, সাবিনা ইয়ামিন (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলমসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.