আফগানদের হারিয়ে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দলগত নৈপূণ্যে আফগানদের বিপক্ষে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরির সুবাদে সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে ২৫০ রানে অলআউট হয়ে যায়। এরপর ১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ করে মোটে ১৩৫ রান। ফলে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৭ রান।

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে দুই ব্যাটসম্যান প্রিন্স মাসভাউরে এবং কেভিন কাসুজা কোন বিপর্যয় ঘটতে দেননি। ফলে ১০ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় উইলিয়ামসের দল। কাসুজা ১১ রানে এবং মাসভাউরে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের জয় এই প্রথম। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এর আগে কখনো ১০ উইকেটে জয় পায়নি তারা। দুই দিনে ফল দেখা ২৩তম টেস্ট ছিল এটি। ২০০০ সাল থেকে এই ২১ বছরে ৮টি টেস্ট শেষ হলো দুই দিনে। ২০০০ সালের আগে ৫৪ বছরে দুই দিনে কোনো টেস্টের ফল দেখা যায়নি।

প্রথম ইনিংসে ১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ভিক্টর নিয়াচি এবং ত্রিপানোর ৩ টি করে উইকেটের সুবাদে মাত্র ১৩৫ রানেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম। আর ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন হামজা। দলীয় অধিনায়ক আসগর আফগান তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন। এছাড়া বলার মতো কেউই তেমন রান করতে পারেননি। ত্রিপানো এবং নিয়াচির ৩টি উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাম্বানি। ১টি করে উইকেট শিকার করেন উইলিয়ামস এবং বার্ল। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬ রানে এগিয়ে থেকে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

এদিকে দিনের শুরুতে ১৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস যোগ করে আরো ১১৭৮ রান। শুরুতেই ৮ রান করা রায়ান বার্লকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ইব্রাহিম জাদরান। রেগিস চাকাভার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। তাকে আবদুল মালিকের ক্যাচ বানান জহির খান। ৪ রান করা ডোনাল্ড ত্রিপানোকে ফেরান এই জহিরই। অন্যপ্রান্তে দেখে শুনে খেলতে থাকেন উইলিয়ামস। ৫৪ রানে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক দেখা পান ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তারপর অবশ্য আর ৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তিনি।

আমির হামজার বলে হাশমাতুল্লাহ শাহিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ১০৫ রানে। আফগানিস্তানের হয়ে অসাধারণ বোলিং করেন হামজা। এই টেস্টে ৬ উইকেটের সুবাদে ক্যারিয়ারের দুই টেস্টেই তিনি ৫ টি করে উইকেট নেন। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাহাতি স্পিনার। ২টি উইকেট নেন জহির।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.