ইয়েমেনকে বাঁচাতে যথেষ্ট অর্থ দেয়নি বিশ্ব

দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়েমেনের মানুষকে বাঁচাতে অন্য দেশগুলো যে সাহায্য দেওয়ার কথা বলেছিল, তার অর্ধেক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব জেনারেল গুতেরেস।

তিনি জানান, সাহায্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া মানে, ইয়েমেনের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া। লক্ষ্য ছিল ৩৮৫ কোটি ডলার তোলার। মোট একশটি দেশের কাছ থেকে এই অর্থ জোগাড় করা হচ্ছিল। জাতিসংঘের মতে, মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে মাত্র ১৭০ কোটি ডলার উঠেছে।

তাই গুতেরেস জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক। ২০১৯ সালে দেশগুলো ইয়েমেনকে সাহায্য করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা তারা রাখেনি। ফলে ইয়েমেনে মানুষের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে শৈশব নারকীয়। তাদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। সব দেশই আবার বিষয়টি ভেবে দেখুক এবং প্রতিশ্রুত অর্থ দিক। না হলে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ থেকে ইয়েমেনকে বাঁচানো যাবে না।

জাতিসংঘের হিসাব, এই বছর ইয়েমেনের এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকবেন। পাঁচ বছরের কম বয়সী চার লাখ শিশু না খেতে পেয়ে মারা যেতে পারে।

সৌদির নেতৃত্বে সামরিক জোট সেখানে হুতিদের সঙ্গে লড়ছে। সৌদি এই বছর ৪৩ কোটি ডলার দিচ্ছে। গত বছরও তারা সব চেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছিল। আমেরিকা এই বছর ১৯ কোটি ডলার দেবে বলেছে। সেটাও প্রতিশ্রুত অর্থের থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ডলার কম।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, জার্মানি এবার সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ কোটি ডলার দেবে। যুক্তরাজ্য দেবে ১২ কোটি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আমিরাত দেবে ২৩ কোটি ডলার।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের প্রধান অলিভিয়া হেডন জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে। মার্চে তা আরো খারাপ হতে পারে। ফলে আরো ১০ হাজার মানুষ ঘড় ছাড়া হতে পারেন। ৪০ লাখ মানুষ এখনই ঘড় ছাড়া। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে চলেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, এপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.