হংকং-এ ৪৭ গণতন্ত্রপন্থি গ্রেপ্তার

হংকং পুলিশের দাবি, যে ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা পুর নির্বাচনের আগে একটি আন-অফিসিয়াল প্রাইমারি ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। এটাই পুলিশের মতে, অন্তর্ঘাতের চক্রান্ত। তাই তারা ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থিকে গ্রেপ্তার করেছে।

বেজিং-এর অত্যন্ত বিতর্কিত জাতীয় সুরক্ষা আইন চালু হওয়ার পর দ্বিতীয়বার এতজন গণতন্ত্রপন্থিকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হলো। জানুয়ারি মাসে ৫০ জন গণতন্ত্রপন্থিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রোববার যে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, বাকিরা নারী, যাঁদের বয়স ২৩ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে।

ডিডাব্লিউর হংকং প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৪৭ জনকে সোমবার আদালতে তোলা হবে। তারপর বিচারক ঠিক করবেন, তাঁরা জামিন পাবেন না কি, আটক থাকতে হবে। তাঁর মতে, যে সময় এতজন গণতন্ত্রপন্থিকে গ্রেপ্তার করা হলো, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হংকং-এ নির্বাচনী সংস্কারের ঘোষণা হবে। সেখানে রাজনৈতিক কার্যকলাপ কাকে বলা হবে, তার নতুন করে ব্যাখ্যা দেয়া হবে। রাজনৈতিক প্রচারও কার্যত বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। আর বর্তমান সুরক্ষা আইন অনুসারে এই গণতন্ত্রপন্থিদের যবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

যাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনেছে, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা আছেন। তাতে আইনসভার সাবেক সদস্য ছাড়া আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সামাজিক কর্মীরাও আছেন। গণতন্ত্রপন্থি অনেক নেতাই এখন জেলে। যাঁদের রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের অনেকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, জামিন পাওয়ার আশা খুব কম বলেই তাঁরা মনে করছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.