ভারতকে সুবিধা দিচ্ছে আইসিসি: ভন

ওভারের হিসেবে মাত্র ১৪০ দশমিক ২, আর বলের হিসেবে ৮৪২। ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের ২৫ ওভার বাকি থাকতেই! শেষ ৮৬ বছরে এর চেয়ে সংক্ষিপ্ত কোন টেস্ট ম্যাচের নজির দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব।

স্বাভাবিকভাবেই সকলের ধারণা ছিল যে, এমন পিচ বানানোয় বড় ধরনের জরিমানার গুনতে হবে ভারতকে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে জরিমানা তো দূরে থাক, কোনপ্রকার তিরষ্কারও পেতে হচ্ছে না বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটিকে। অবশ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) ভারতের প্রভাব এবারই নতুন নয়। বিরাট কোহলিদের প্রতি সবসময়ই নমনীয় ক্রিকেটের এই অভিভাবক সংস্থা। আইসিসির এমন দ্বিমুখী আচরণের তুমুল সমালোচনা করেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন।

ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে ভন বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত ভারতের মতো শক্তিশালী দেশগুলো যা ইচ্ছা তাই করে যাওয়ার সুযোগ পাবে, ততদিন পর্যন্ত আইসিসিকে দন্তহীন মনে হবে। গভর্নিং বডি ভারতকে যা খুশী তাই করতে দিচ্ছে এবং এর ফলে আহত হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট।’

দুইদিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সম্প্রচারকারীরা। এই ক্ষতি পোষানোর জন্যে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দাবি করার পরামর্শ দিয়ে এই ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার জানান, ‘জিনিসগুলো পরিবর্তনের জন্য সম্প্রচারকারীরা অর্থ ফেরত চাইতে পারে। খেলোয়াড়েরা ভালো না খেলার কারণে খেলা দ্রুত শেষ হলে তারা মেনে নেয়। কিন্তু যখন স্বাগতিক দল ইচ্ছে করে বাজে পিচ তৈরি করে তখন ব্যাপারটা আলাদা। এখনো তিনদিন ফাঁকা পরে আছে। কিন্তু তাদের প্রোডাকশন ব্যয় ঠিকই দিতে হচ্ছে। তারা নিশ্চিতভাবেই খুশি না এবং ভবিষ্যতে টেস্টের সম্প্রচার স্বত্ব কেনার আগে দুইবার ভাববে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত তৃতীয় টেস্ট জিতেছে, কিন্তু এটি অগভীর একটি জয়। প্রকৃতপক্ষে এমন ম্যাচে আসলে কোন বিজয়ী থাকেনা। তবুও ভারত তাদের দক্ষতা দেখিয়েছে। আমরা ন্যায্য বলবনা যদি এমনটা অস্বীকার করি যে এ ধরণের কন্ডিশনে তাদের স্কিল ইংল্যান্ডের চেয়ে ভালো।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.