ঢাকা-জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু ২৬ মার্চ

ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। আগামী ২৬ মার্চ থেকে এই রেল সেবা চালু হবে। সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলাচল করবে।

সোম এবং বৃহস্পতিবার ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে বুধবার দুই দেশের রেল কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর ভারতের রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) রবীন্দ্র কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ছাপ্পান্ন বছর পার হয়ে গেছে। এবার ফের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হতে চলেছে। রেলপথে জুড়ছে নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা। ২৬ মার্চ থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হবে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা।

প্রতিবেদনে বলা হযেছে, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুই দিন ট্রেনটি চলবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় ছাড়বে। নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা চলাচল করতে যাওয়া ট্রেনের ভাড়া এখনও ঠিক হয়নি।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনটি চললে সেখানকার কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা কী থাকবে, পাশাপাশি কর্মীদের কার্যপদ্ধতি, ট্রেন চলাচলের পরিকাঠামোর উন্নয়ন, কর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে দুই দেশের রেলকর্তাদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দেন, এই রেলপথ দিয়েই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মেলবন্ধন ঘটবে।

মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের রেলকর্তাদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। এই রেলপথ খুব শিগগির চালু করার বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পণ্যবাহী ট্রেনের যাতায়াতের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয় এতে। তারপর বুধবার ফের এই কর্মকর্তারা যাত্রীবাহী ট্রেন চালু নিয়ে আলোচনা করেন।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার। ভারতের অংশে রয়েছে ৮৪ কিলোমিটার। এই দীর্ঘপথে থাকছে উভয় দেশের ১৫টি স্টেশন। তবে কোনো স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে না।

যাত্রাপথে সময় লাগবে নয় ঘণ্টা। তবে এই পথের ভাড়া এখনো নির্ধারণ করা না হলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এসির ভাড়া ২ হাজার, চেয়ারকোচের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ এবং স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ১ হাজার ২০০-এর কাছাকাছি থাকবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.