ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে লিখিত দলিল চায় পাকিস্তান

২০২১ টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। তবে সেখানে পাকিস্তান অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। আইসিসি এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতা অনেক দিনের। রাজনীতির টেবিল ছাড়িয়ে সেটি খেলার মাঠে এসেও আছড়ে পড়েছে। ২০০৭ সাল থেকে কোন দ্বীপাক্ষিক সিরিজ খেলে না দেশ দুটি। যদিও আইসিসি আয়োজিত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোয় দেশ দুটি মুখোমুখি হবার সুযোগ পেত। ২০১৯ বিশ্বকাপেও সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। এমনকি ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান। এবার ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আবারো ভারতে।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে খুব নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে এই টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরটিতে পাকিস্তান খেলতে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর আগে ভারত একবার পাকিস্তানকে ভিসা না দেয়ার হুমকি জানিয়েছিল। যে কারণে আইসিসি থেকে ২০২১ বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার লিখিত দলিল দাবি করছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহমান মানি।

লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার আমাদের কোনোদিনই বলেনি যে আমরা ওখানে গিয়ে (ভারতে) খেলতে পারব না। আমরা আইসিসির সঙ্গে একমত হয়েছি যে আমরা অংশ নিতে যাচ্ছি এবং আমরা এটি থেকে অংশ না নিয়েও থাকতে পারি না। আইসিসির সভায় আমি স্পষ্টভাবে বলেছি যে, ভারত সরকারের কাছ থেকে আমাদের লিখিত আশ্বাসের দরকার। কেবল আমাদের দল এবং স্কোয়াডের ভিসা নয়, আমাদের ভক্ত, সাংবাদিক এবং বোর্ড কর্মকর্তাদের জন্যও ভিসা দরকার, তবে এটি সবই আইসিসির আয়োজক চুক্তিতে লিখিত রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের দাবি রেখেছি।’

মানি আরও বলেন, ‘আইসিসিও এটি নিয়ে (লিখিত আশ্বাস) টালবাহানা করছে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাদের লিখিত আশ্বাস দেয়া হবে বলে জানিয়েছিল তারা, কিন্তু তা হয়নি। আমি আবার এটি জানুয়ারিতে এবং ফেব্রুয়ারিতে সরাসরি আইসিসির চেয়ারম্যানের কাছে উত্থাপন করেছিলাম। তারপরে আমি কথা বললাম আইসিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে এবং আমি তাদের বলেছিলাম যে মার্চের মধ্যে আমার সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তের দরকার। তারা বলছে মার্চের শেষের দিকে দিয়ে দেবে। যদি তারা এটি দিতে না পারে তবে এটা আশা করি যে ভারত থেকে আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টটি সরিয়ে নেয়া হবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.