রাবি প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পর এবার হল-ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর হল-ক্যাম্পাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দিতে প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এই সময়ের মধ্যে হল খুলে দেওয়া না হলে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই হল খুলে ভেতরে ঢোকার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে হল খোলা না হলে, প্রশাসনের দরকার নেই৷ আমরাই আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। প্রশাসন হল না খুললে আমাদের হল আমরাই খুলব। সবকিছু স্বাভাবিক চলছে, তাহলে ক্যাম্পাস বন্ধ কেন! শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি চলতে পারে না। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছে। এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।

এ সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকি বলেন, ‘হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে দীর্ঘদিন আমরা অপেক্ষা করে দেখেছিলাম আমাদের পিতৃতুল্য-মাতৃতুল্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মস্তিষ্কে নাড়া দেয় কি না। কিন্তু তাদের মস্তিষ্কে নাড়া দেয়নি। তাদের তো বেতন বন্ধ নাই, তাদের তো আনন্দ-ফুর্তি বন্ধ নাই। বন্ধ শুধু আমাদের জীবন। আমরা ভিসি স্যারকে জানিয়ে দিতে চাই আমরা আপনার সন্তান-তুল্য শিক্ষার্থীরা অনেক শান্ত; কিন্তু কতটা অশান্ত হতে পারি আপনি জানেন না।’

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের কথা ভাবে। কিন্তু আমরা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও আপনারা আমাদের কথা না ভেবে বসে বসে চা কফি খান। আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি হয়েছে। সে তুলনায় আমরা অনেক ভদ্র। তারা তালা খুলেছে, কিন্তু আমরা তালা খুলতে যাইনি। তার মানে এই নয় আমরা তালা খুলতে পারি না। আমরা হল ও ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলাম। আগামীকাল ১১টার মধ্যে কোন ধরণের ঘোষণা না আসলে আমরাই ঘোষণা দেব।’

এছাড়া পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা নিচ্ছে কিন্তু হল খুলছেন না। তাহলে আমরা কোথায় থেকে পরীক্ষা দেব? বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের এলাকায় থেকে পরীক্ষা দিলে কি করোনা ধরবে না? নাকি সেখানে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছে প্রশাসন? আর বাইরে থাকার ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.