আনুষ্ঠানিক অবসরে রাজ্জাক-নাফীস

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বললেন শাহরিয়ার নাফিস ও আব্দুর রাজ্জাক। আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই দুই ক্রিকেটার।

শনিবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টার সংলগ্ন ১নং প্লাজায় ‘পিচ ফাউন্ডেশন’ এর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই রাজ্জাক ও নাফিস বিদায়ের ঘোষণা দেন।

অবসরের পর নাফিস ও রাজ্জাক দুজনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে যুক্ত হবেন। এর মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাক জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। তিনি যোগ দেবেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে। দু-একদিনের মধ্যে রাজ্জাকের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে।

আর বাঁহাতি ওপেনার নাফিস যোগ দিচ্ছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে। তবে তিনি ম্যানেজার হিসেবে নয়, বরং ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। পরে অন্য কোনো বিভাগেও যোগ দিতে পারেন তিনি।

জাতীয় দলের হয়ে ২০০৪ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল রাজ্জাকের। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৩৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।

জাতীয় দলের জার্সিতে ১৩ টেস্ট খেলে ২৮ উইকেট নিয়েছেন। আর ওয়ানডেতে ২০৭ ও টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন এই স্পিনার।

অন্যদিকে দেশের হয়ে ২৪ টেস্ট, ৭৫টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নাফীস। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের প্রথম অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে চারটি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফসেঞ্চুরির মোট দুই হাজার ২০১ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তার টেস্ট সেঞ্চুরি আছে।

জাতীয় দলের চেয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আরও বেশি সফল ক্রিকেটার নাফীস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ১২৪ ম্যাচ খেলে ১৫ সেঞ্চুরি এবং ৪৮ হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে আট হাজার ১৪১ রান করেছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.