প্রথম দিনেই সাড়া ফেলেছে মোল্লার মুড়ি উৎসব

এক সময় ঢাকাই চলচ্চিত্রে রমরমা সময় ছিল। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি চলতো অ্যাকশন কাটের কর্মযজ্ঞ, সবই এখন অতীত হয়ে যাচ্ছে। ক্ষয়ে গেছে সেদিনের সেই সব সোনালি সঞ্চয়। সংস্কৃতি কর্মী থেকে শুরু করে এর সঙ্গে অষ্টেপৃষ্ঠে থাকা মানুষগুলোও আজ ফুরিয়ে যাওয়া এক একটা বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে!

এই যেমন এফডিসির আব্দুল মান্নান মোল্লার কথাই বলা যাক। সেই ১৯৭২ থেকে ঢাকার এফডিসিতে মুড়ি বিক্রি করে আসছেন। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ থেকে শুরু করে এ সময়ের সব তারকা ও এফডিসির কলাকুশলীদের প্রিয় মুখ তিনি। দীর্ঘ দিনের সেই চেনা মোল্লা, আর তার ঝালমুড়ি। এফডিসির সর্বস্তরের প্রিয়মুখ ঝালমুড়িওয়ালা মোল্লা এবার ফিরতে চাইছেন গ্রামে। বাকি জীবনটা সেখানেই কাটাতে চান। কারণ, এরমধ্যে এক হাত অকেজো হয়েছে। কমেছে মুড়ি বিক্রিও। চলছে না তার জীবন ও সংসার। তার এমন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন একদল তরুণ বিনোদন সাংবাদিক।

আয়োজন করেছে মোল্লাকে বাড়ি ফেরানোর উৎসব। যে উৎসবের মাধ্যমে জানানো হবে সম্মান, করা হবে আর্থিক সহযোগিতা। যা দিয়ে নিজ গ্রামে বাকি জীবন মোল্লা কাটাবেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

মোল্লা যাবে বাড়ি- এই স্লোগান তুলে ৩ দিনের এই মুড়ি উৎসবের শুরুটা হয়েছে গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে। স্থান এফডিসি, চলেছে রাত ৮টা পর্যন্ত। শনি ও রোববারও চলবে একই সূচিতে। প্রথম দিনেই দারুণ সাড়া পড়েছে এই উৎসবে। মোল্লার পাশে দেখা মিলেছে চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের। সাধ্যের মধ্যে এগিয়ে এসেছেন চিত্রনায়ক আলমগীর, জায়েদ খান, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, প্রযোজক ফরমান আলী, প্রযোজক জাহাঙ্গীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরন, শাহীন সুমন, সাইমন তারিক, আরিফুর জামান আরিফ, জাসিম উদ্দিন জাকির, আবু রায়হান জুয়েল, চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ, তানিন সুবাহ ও অরিন, অভিনেতা হারুন রশিদ, আব্দুল হক, সাংবাদিক প্রতীক আকবর, এসকে মিডিয়া ও আল মামুন (পুলিশ)।

উৎসবটি আয়োজনের পেছনে কাজ করছেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার, রুহুল আমিন ভূঁইয়া। যারা প্রত্যেকেই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত।

অর্থসূচক/এএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.