পুতিনকে ফোন, নাভালনির মুক্তি দাবি বাইডেনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জো বাইডেন। পুতিনকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী নেতা নাভালনিকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা তিনি সমর্থন করেন না। জি সেভেনের বাকি সমস্ত দেশই নাভালনির ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করেছে। বাইডেন শেষ ব্যক্তি যিনি এ কাজ করলেন।

এর আগে হোয়াইট হাউসের নবনিযুক্ত প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছিলেন, নাভালনির বিষয়ে বাইডেন অত্যন্ত চিন্তিত। এবং তাঁর মুক্তির জন্য সবরকম আলোচনার পথ খোলা রাখবে আমেরিকা। তিনি জানান, বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের প্রথম ফোন কলেই বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর আগে জার্মানি এবং ফ্রান্সও নাভালনির গ্রেফতার নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। নাভালনিকে দ্রুত ছাড়ার জন্য রাশিয়ার উপর চাপও তৈরি করেছেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ায় পুতিন-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নাভালনি। গত অগাস্টে তাঁকে বিষ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সরকার এবং প্রশাসনই এ কাজ করার চেষ্টা করেছিল। নাভালনিকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানি। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। একসময় নাভালনি কোমাতেও চলে গেছিলেন। জার্মানিতে চিকিৎসা চলাকালীনই স্পষ্ট হয়, তাঁকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল।

জার্মানি ওই ঘটনায় সরাসরি পুতিনকে দায়ী করে এবং তাঁর জবাবদিহি চায়। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজে এ বিষয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। কিছুদিন আগে ম্যার্কেল জানিয়েছিলেন, নাভালনিকে নিঃশর্তে মুক্তি না দিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। নাভালনির পাশাপাশি একাধিক আন্দোলনকারীকেও মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ম্যার্কেল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও নাভালনির মুক্তির দাবি করেছে। কিন্তু পুতিন এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। রাশিয়ার বিমানবন্দর থেকে নাভালনিকে গ্রেফতার করার পরে থানাতেই তাঁর বিচারসভা বসানো হয়। আপাতত ৩০ দিনের জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী শুনানি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, তাতে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর। তবে নাভালনির গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাশিয়ায়। প্রায় সমস্ত প্রদেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। রাশিয়ায় প্রতিদিন আন্দোলনকারীরা পুতিন-বিরোধী পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নামছেন। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীরা গ্রেফতার করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ম্যার্কেলের মতো বাইডেনও নাভালনি এবং বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবি করেছেন। নাভালনিকে না ছাড়লে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কও যে তিক্ত হতে পারে, সে ইঙ্গিত প্রথম ফোন কলেই দিয়ে রেখেছেন বাইডেন। সূত্র: রয়টার্স, এপি

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.